নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরতলীর ঝিলংজা বড়ছড়া শুকনাছড়ি এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরকে ফুঁসলিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ২১ বছরের এক নারীর সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে । গত ২৬ আগস্ট নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনাাম করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও ওই নারীর পরিবারের লোকজন এই বিয়ে দিয়েছেন। এই অসম বাল্য বিয়ের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এই ঘটনায় ওই কিশোরের বিধবা কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড়ছড়া শুকনাছড়ি চরপাড়ার রহমানের মেয়ে নূর আয়েশার গত দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। এক বছর আগে স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে নূর আয়েশা বাবার বাড়িতে রয়েছে। নূর আয়েশা ও তার পরিবারের লোকজন তাদের প্রতিবেশী মৃত নজির আহামদের পুত্র মোঃ মিজানকে বশ করেন। এক পর্যায়ে গত ২৬ আগস্ট ফুঁসলিয়ে মিজানকে তাদের বাড়িতে জিম্মি করে হলফনামামুলে স্বামী পরিত্যক্ততা নূর আয়েশার সাথে বিয়ে দেন। জন্ম সনদে দেখা গেছে, মিজানের জন্ম তারিখ ১৫/০৮/২০০৩। সে হিসাবে দার বয়স ১৪ বছর।

মোঃ মিজানের মা বুলু আকতার জানান, প্রতিবেশী হওয়ায় নূর আয়েশার বাড়িতে মোঃ মিজানসহ তাদের পরিবারের অন্যদের যাতায়াত রয়েছে। কিছুদিন ধরে মিজান তাদের বাড়িতে প্রায় যাওয়া-আসা করে। এক পর্যায়ে ২৬ আগস্ট রাতে সে তাদের বাড়িতে থেকে যায়। সকালে এসে হঠাৎ তার মা বুলু আকতারকে পায়ে ধরে সালাম করে। এই নিয়ে ঠাট্টাও করেন তিনি। তবে মিজান তার মাকে জানায়, নূর আয়েশার বাবা রহমানসহ অন্যরা তাকে মাকে সালাম করতে বলেছেন। এক পর্যায়ে মিজান তার মাকে বিয়ের কথা জানায়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সমাজ সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান।

সমাজ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত নূর আয়েশার বাড়িতে গিয়ে আমরা তার বাবা রহমানসহ অন্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা বিয়ের কথা স্বীকার করেন। মিজানের বয়স ১৪ বছর হওয়ায় বাল্য বিয়ের কথা বললে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে রহমান আমাকে বলেন- বিয়ে দিয়েছি তাতে কি হয়েছে? কেউ পারলে কিছু করো। সেই থেকে মোঃ মিজান রহমানের বাড়িতে অবস্থান করছে।

সমাজ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আমরা সামাজিক বিষয়টি সুরাহা করতে না পারায় মিজানের মাকে থানায় অভিযোগ করতে বলেছি। কারণ বিষয়টি খুব জটিল। কারণ একটা শিশু ছেলের একটা স্বামী পরিত্যক্ত নারীর বিয়ে দেয়া আইনত অবৈধ ও সমাজ গর্হিত কাজ।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, রহমানে বাড়িতে নিয়মিত ইয়াবার আসর বসে। তার স্ত্রী বুলবুল আকতার খুচরাভাবে ইয়াবা করেন। ইয়াবা সেবনের জন্য বিভিন্ন ধরলেন লোকজন গভীর রাতে তাদের বাড়িতে যায়। এতে পুরো এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।